নিজস্ব প্রতিবেদক: চেক জালিয়াতির মামলার অভিযোগে অভিযুক্ত সায়েম দাদ খান নওশাদ কিশোরঞ্জের তাড়াইল উপজেলার সাচাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ নিয়ে সাচাইল ইউনিয়নের জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এক সময় তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। বারবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইলেও জনগণের সাথে প্রতারণার বিষয় জানতে পেরে দলীয় হাইকমান্ড তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়নি।
বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন করেও হেরে যাওয়া নওশাদ এখন জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সরজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায় তার প্রতারণার চিত্র। পূর্ব দরিজাহাঙ্গীরপুরের মৃত মুসলেহ উদ্দিন খানের পুত্র মো: সায়েদ দাদ খান নওশাদ রোকন উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে নাজমুল আলমের নিকট থেকে চৌদ্দ লাখ টাকা নিয়ে দুটি চেক প্রদান করে। টাকা না পেয়ে নওশাদের বিরুদ্ধে নিগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্ট এর ১৩৮ ধারায় সিআর মামলা নং ১৮২(১)/২০২০ ও ১৮৩(১)/২০২০ দুটি মামলা দায়ের করেন নাজমুল আলম।
এ বিষয়ে নাজমুল আলম জানান, নওশাদ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোক হওয়ায় বিভিন্ন দেন দরবার করেও টাকা উদ্ধার করতে পারিনি তাই আমি চেকের মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। এলাকার অনেক মানুষের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়েও টাকা ফেরত দিচ্ছে না। সরজমিনে খোঁজ করলেই সকল তথ্য পাবেন।
এলাকায় সরজমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, তাড়াইলের ইমানের নিকট গরু ক্রয় করে প্রায় ৬ বছর যাবৎ ৬০ হাজার টাকা অদ্যবধি দেয়নি, ইমানের মায়ের নিকট থেকেও প্রায় ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বেশ কয়েক বছর যাবৎ আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও হাসান মেম্বার ৭০ হাজার টাকা, দড়িজাহাঙ্গীরপুরের ইসমাইল পাবে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বকুলা ৬০ হাজার টাকা, মালেকা ৫০ হাজার, বকুলা তাড়াইল বাজারের শফিক এক লাখ টাকা নিয়ে অদ্যবধি টাকা পায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাড়াইল বাজারের একজন প্রবীন জানান, নওশাদ একজন প্রতারক, সে মিষ্টি মিষ্টি কথা নিজ গ্রামসহ তাড়াইলের বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে আর তা ফেরত দেয় না। আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করার কারণে সবাই তাকে ভয় পায়।
জেলা নির্বাচন অফিসার আশ্রাফুল আলম জানান, নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর নির্বাচন আইন অনুযায়ী যাচাই বাছাই করা হয়। সে মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হলে প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদনটি বাতিল হলে হাইকোর্টে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত সায়েম দাদ খান নওশাদ নিগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্ট এর ১৩৮ ধারায় সিআর মামলা নং ১৮২(১)/২০২০ ও ১৮৩(১)/২০২০ দুটি মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদককে জানান, আমার কাছে কেউ টাকাপয়সা পায় না, কেহ যদি বলে তবে আমি সবগুলোই মাইনা নেব যে আমার কাছে পায়।